প্রকৃতির কোলে এক টুকরো স্বর্গ: রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট ভ্রমণ

শহরের যান্ত্রিক জীবন থেকে একটুখানি মুক্তি, প্রকৃতির শান্ত স্নিগ্ধতায় নিজেকে হারিয়ে ফেলার এক অপূর্ব ঠিকানা রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট। গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে অবস্থিত এই রিসোর্টটি যেন এক সবুজ ক্যানভাস, যেখানে প্রকৃতি তার সমস্ত রং মেলে ধরেছে। শহুরে কোলাহল থেকে দূরে, সবুজের সমারোহে ঘেরা এই রিসোর্টটি সত্যিই এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। যাত্রা শুরু: ঢাকা থেকে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টের দূরত্ব খুব বেশি নয়। ব্যক্তিগত গাড়ি বা বাসে সহজেই এখানে পৌঁছানো যায়। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি গাড়ি ভাড়া করে রওনা দিলাম। শহর ছাড়িয়ে যতই গ্রামের দিকে এগোচ্ছিলাম, ততই চারপাশের সবুজ দৃশ্য মনকে শান্ত করে তুলছিল। রাস্তার দু’পাশে সারি সারি গাছ, পাখির কলরব, আর নির্মল বাতাস—সব মিলিয়ে যেন এক অন্য জগতে প্রবেশ করলাম। রিসোর্টে প্রবেশ: রিসোর্টের গেট দিয়ে ভেতরে ঢোকার সাথে সাথেই মনটা আনন্দে ভরে উঠল। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। বিশাল এলাকা জুড়ে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা, ফুলের বাগান, আর জলাশয়। রিসোর্টের স্থাপত্যশৈলীও বেশ আকর্ষণীয়। প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার, কাঠের তৈরি কটেজ, আর বাঁশের বেড়া—সব মিলিয়ে যেন প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে যাওয়া। কটেজ ও আবাস: রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে বিভিন্ন ধরনের কটেজ ও ভিলা রয়েছে। প্রতিটি কটেজই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে। আমরা কাঠের তৈরি একটি কটেজে উঠলাম। কটেজের ভেতরটা বেশ পরিপাটি ও আরামদায়ক। বড় বড় জানালা দিয়ে বাইরের সবুজ দৃশ্য দেখা যায়। বারান্দায় বসে পাখির গান শুনতে শুনতে চা পানের অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ। প্রকৃতির সাথে মিতালি: রিসোর্টের মূল আকর্ষণ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আমরা রিসোর্টের বিভিন্ন অংশে ঘুরে বেড়ালাম। হাঁটার জন্য সুন্দর পথ তৈরি করা আছে। জলাশয়ের পাশে বসে মাছ ধরা, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো, কিংবা শুধু প্রকৃতির নীরবতা উপভোগ করা—এখানে সবই সম্ভব। রিসোর্টের ভেতরের লেকটি খুবই সুন্দর, সেখানে প্যাডেল বোটে চড়ে ঘুরে বেড়ানো যায়। লেকের চারপাশের সবুজ গাছপালা ও পাখির কলরব মনকে প্রশান্তিতে ভরিয়ে তোলে। বিভিন্ন কার্যকলাপ: রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। শিশুদের জন্য খেলার জায়গা, সাইক্লিংয়ের ব্যবস্থা, আর বিভিন্ন ইনডোর ও আউটডোর গেমস। আমরা বন্ধুরা মিলে সাইক্লিং করে রিসোর্টের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখলাম। রিসোর্টের ভেতরের জলাশয়ে কায়াকিং করার সুযোগও রয়েছে। এছাড়াও, এখানে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খাবার-দাবার: রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টের রেস্টুরেন্টে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানকার খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু এবং পরিবেশনও চমৎকার। আমরা বাঙালি খাবারের স্বাদ নিলাম, যা সত্যিই অসাধারণ ছিল। তাজা সবজি ও মাছের পদগুলো যেন জিভে জল এনে দেয়। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে রাতের খাবার পর্যন্ত, প্রতিটি পদই ছিল অতুলনীয়। পাখির কলরব: রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট পাখির জন্য স্বর্গরাজ্য। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। সকালবেলা পাখির কলরবে ঘুম ভাঙে। আমরা বাইনোকুলার নিয়ে পাখি দেখতে বেরিয়েছিলাম। বিভিন্ন প্রজাতির চড়ুই, দোয়েল, বুলবুলি, শালিকসহ আরও অনেক পাখির দেখা পেলাম। পাখির ছবি তোলার জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা। শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ: রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ। শহরের কোলাহল থেকে দূরে, প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলার জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান। এখানে এসে মনে হয় যেন সময় থমকে গেছে। রাতের বেলা আকাশের দিকে তাকালে অসংখ্য তারা দেখা যায়। চারপাশের নীরবতা আর ঝিঁঝি পোকার ডাক এক অন্যরকম অনুভূতি তৈরি করে। পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ: রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের জন্য পরিচিত। এখানে প্লাস্টিকের ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে, এবং প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। রিসোর্টের বিভিন্ন অংশে সোলার প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে, যা পরিবেশের জন্য খুবই উপকারী। রিসোর্টের কর্মীরাও পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে কাজ করেন। ছবি তোলার আদর্শ স্থান: রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট ছবি তোলার জন্য একটি আদর্শ স্থান। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ফুলের বাগান, জলাশয়, আর কাঠের তৈরি কটেজ—সব মিলিয়ে যেন এক মনোরম পরিবেশ। আমরা বন্ধুরা মিলে অসংখ্য ছবি তুলেছি, যা আমাদের এই ভ্রমণের স্মৃতিকে আরও রঙিন করে তুলেছে। পরিবার ও বন্ধুদের সাথে ভ্রমণের জন্য আদর্শ: রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট পরিবার ও বন্ধুদের সাথে ভ্রমণের জন্য একটি আদর্শ স্থান। এখানে এসে সবাই একসাথে আনন্দময় সময় কাটাতে পারে। শিশুদের জন্য খেলার জায়গা, বড়দের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা, আর সবার জন্য প্রকৃতির শান্ত পরিবেশ—সব মিলিয়ে এটি একটি পরিপূর্ণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। শেষ কথা: রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট ভ্রমণ আমাদের জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল। প্রকৃতির কোলে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আমরা যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেলাম। শহরের ব্যস্ত জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে প্রকৃতির শান্ত স্নিগ্ধতায় নিজেকে সতেজ করার জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান। যারা প্রকৃতিপ্রেমী এবং শান্ত পরিবেশে ছুটি কাটাতে চান, তাদের জন্য রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট একটি চমৎকার গন্তব্য। রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট ভ্রমণের স্মৃতিগুলো আমাদের মনে চিরকাল অমলিন থাকবে। আমরা আবার এখানে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখি, প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলার জন্য।

স্বপ্নের আঙিনায় একদিন: ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্টের অপরূপ সৌন্দর্য

নগর জীবনের ক্লান্তি আর ব্যস্ততা থেকে একটুখানি মুক্তি পেতে, প্রকৃতির কোলে কয়েকটা দিন কাটানোর ইচ্ছা কার না জাগে? আর যদি সেই জায়গাটি হয় সবুজ গাছপালা ঘেরা, শান্ত ও মনোরম পরিবেশে, তবে তো কথাই নেই। ঢাকার কাছেই গাজীপুরে তেমনই এক স্বপ্নপুরী হলো ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্ট। প্রায় ১০০ একর জমির উপর গড়ে ওঠা এই রিসোর্টটি যেন এক টুকরো স্বর্গ। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব কিংবা প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান। পৌঁছানোর পথ ও প্রথম দর্শন: গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্টে পৌঁছানো খুব সহজ। নিজস্ব গাড়ি, সিএনজি বা লোকাল বাসে করে সহজেই এখানে আসা যায়। রিসোর্টের গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই মনটা আনন্দে ভরে যায়। চারিদিকে সবুজের সমারোহ, সারি সারি গাছপালা, আর পাখির কলরব। বিশাল লেক, বিভিন্ন ধরনের ফুলের বাগান, আর দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাগুলো দেখে মনে হয় যেন কোনো রূপকথার রাজ্যে এসে পড়েছি। রিসোর্টের ভেতরে চলাচলের জন্য ব্যাটারিচালিত রিকশা ও গাড়ি রয়েছে, যা ভ্রমণকে আরও সহজ করে তোলে। আবাসন ও সুযোগ-সুবিধা: ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্টে বিভিন্ন ধরনের কটেজ ও ভিলা রয়েছে, যা বিভিন্ন মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি কক্ষই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এবং রুচিশীলভাবে সাজানো। কটেজগুলোর জানালা খুললেই চোখে পড়ে সবুজের অপরূপ দৃশ্য। এখানকার রুম সার্ভিসও বেশ ভালো। রিসোর্টের উল্লেখযোগ্য কিছু সুবিধা হলো: বিভিন্ন ধরনের কটেজ ও ভিলা: পারিবারিক ভ্রমণ, হানিমুন বা কর্পোরেট ইভেন্টের জন্য বিভিন্ন ধরনের কটেজ ও ভিলা রয়েছে। সুইমিং পুল: বিশাল সুইমিং পুলটি ছোট-বড় সবার কাছেই খুবই জনপ্রিয়। ওয়াটার পার্ক: বাচ্চাদের জন্য রয়েছে ওয়াটার পার্ক, যেখানে বিভিন্ন ধরনের রাইড উপভোগ করা যায়। বোট রাইডিং: লেকে বোট রাইডিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে, যা মনকে প্রশান্তি এনে দেয়। শিশুদের খেলার জায়গা: বাচ্চাদের জন্য রয়েছে আলাদা খেলার জায়গা, যেখানে তারা আনন্দে মেতে উঠতে পারে। কনফারেন্স হল ও ইভেন্ট স্পেস: বিভিন্ন কর্পোরেট ইভেন্ট, বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য এখানে কনফারেন্স হল ও ইভেন্ট স্পেস রয়েছে। রেস্টুরেন্ট: রিসোর্টের নিজস্ব রেস্টুরেন্টে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। ওয়াই-ফাই: পুরো রিসোর্ট জুড়ে ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ের সুবিধা রয়েছে। পার্কিং: নিজস্ব গাড়ির জন্য বিশাল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যাওয়া: ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। লেকের ধারে বসে সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতা এক কথায় অসাধারণ। পাখির কিচিরমিচির শব্দ, মৃদু বাতাস, আর চারপাশের সবুজ পরিবেশ মনকে শান্ত করে তোলে। রিসোর্টের বিভিন্ন জায়গায় সুন্দর ফুলের বাগান রয়েছে, যা ছবি তোলার জন্য আদর্শ স্থান। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও পাখি দেখা যায়, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের মন জয় করে নেয়। রিসোর্টের লেকের চারপাশ জুড়ে হাঁটার জন্য সুন্দর রাস্তা রয়েছে, যেখানে হাঁটতে হাঁটতে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।   আনন্দময় মুহূর্ত: ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্টে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। সুইমিং পুল, ওয়াটার পার্ক, বোট রাইডিং, সাইক্লিং, বিলিয়ার্ড, টেবিল টেনিস, ক্যারাম, লুডু ইত্যাদি খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাইড ও খেলার সামগ্রী। এছাড়া, এখানে বারবিকিউ ও ক্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে, যা রাতের বেলা আরও আনন্দময় করে তোলে।   খাবার ও পানীয়: ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্টের রেস্টুরেন্টে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে বাংলা, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান, থাইসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। এখানকার সি-ফুড ও বারবিকিউ বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া, বিভিন্ন ধরনের জুস, কফি ও অন্যান্য পানীয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ: ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্ট পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটানোর জন্য একটি আদর্শ স্থান। এখানে সবাই মিলে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া যায়। রাতের বেলা বারবিকিউ ও ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে আরও আনন্দময় মুহূর্ত তৈরি করা যায়। এছাড়া, রিসোর্টের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে সবাই মিলে গল্প করা ও আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। ফটোগ্রাফির স্বর্গ: ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্ট ফটোগ্রাফারদের জন্য একটি স্বর্গ। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা, আর বিভিন্ন ধরনের ফুলের বাগান ছবি তোলার জন্য আদর্শ স্থান। সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময় এখানকার দৃশ্য আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে। এছাড়া, বিভিন্ন ধরনের পাখি ও প্রাণীর ছবি তোলার সুযোগও রয়েছে। শেষ কথা: ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্ট শহুরে জীবনের ক্লান্তি দূর করে প্রকৃতির কোলে এক প্রশান্তির ছোঁয়া দেয়। নিরিবিলি পরিবেশ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা মিলিয়ে এটি একটি অসাধারণ ভ্রমণ গন্তব্য। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব কিংবা প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত কাটানোর জন্য ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্ট একটি চমৎকার জায়গা। তাই, ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে একটুখানি অবসর পেলেই ঘুরে আসুন ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্ট থেকে। এই রিসোর্টটি আপনাকে নতুন করে সতেজ করে তুলবে এবং প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা দেবে।

Bhawal Resort & Spa

Bhawal Resort & Spa: A Serene Escape Near Dhaka   Nestled within the lush greenery of the Bhawal forest in Gazipur, Bhawal Resort & Spa offers a perfect escape from the noise and chaos of city life. Just an hour’s drive from Dhaka, this luxurious resort is designed to blend seamlessly with nature, creating a tranquil retreat where guests can unwind in peace. A Perfect Blend of Tradition and Modern Comfort The resort’s architecture is inspired by traditional Bengali homes and the indigenous Santal community’s designs. Elevated courtyard-style huts ensure natural airflow and allow rainwater to flow freely, creating a sustainable and eco-friendly environment. Built using local materials such as treated bamboo and textured tiles, the entire resort is a testament to thoughtful design that prioritizes both aesthetics and environmental harmony. Luxurious Accommodations Guests can choose from a variety of accommodations, including private villas and suites. Each space is designed with comfort and privacy in mind, offering breathtaking views of the surrounding forest. Whether you’re traveling alone, as a couple, or with family, the resort provides a peaceful and cozy atmosphere to relax and reconnect with nature. A Delightful Culinary Experience The dining experience at Bhawal Resort & Spa is carefully curated to provide both comfort and indulgence. The restaurant, with its warm decor and inviting ambiance, serves a mix of local and international cuisines. Special theme nights and a seasonal menu add an extra touch of variety, ensuring that every meal is a memorable experience. Activities and Recreation For those who love staying active, the resort offers a well-equipped fitness center and a range of activities for guests of all ages. Whether you prefer a morning jog through the greenery, a refreshing swim, or simply lounging with a book by the pool, there’s something for everyone. Ideal for Events and Gatherings Bhawal Resort & Spa is also a fantastic venue for weddings, corporate retreats, and special occasions. With spacious banquet halls and beautiful open-air spaces, it provides the perfect setting for unforgettable celebrations or productive business meetings, all while being surrounded by nature’s beauty. A Commitment to Sustainability One of the most unique aspects of the resort is its commitment to environmental sustainability. Designed to minimize its ecological footprint, the resort maximizes natural light and ventilation, creating a refreshing and peaceful atmosphere. It’s not just a place to stay—it’s a place to truly connect with nature. A Perfect Getaway Bhawal Resort & Spa is more than just a luxury retreat—it’s a peaceful haven where guests can rejuvenate both body and mind. Whether you’re looking for a romantic getaway, a family vacation, or a solo retreat, this resort offers the perfect combination of comfort, nature, and relaxation. Address Bhawal Resort & Spa Village: Noljahni, Union: Mirzapur, Sreepur, Gazipur 1740, Bangladesh. Phone: +880-9611400700, +880-1871004007, +880-1871004015 • Email: reservation@bhawalresort.com